ত্বকের পরিচর্য়ায় অ্যালো ভেরা জেল

একাধিক ভিটামিন, এনজাইম, মিনারেল সহ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফলিক অ্যাসিডে ঠাসা এই প্রাকৃতিক উপাদনটিকে ত্বকের পরিচর্যায় কাজে লাগালে একাধিক উপকার পাওয়া যায়। বিশেষত, অল্প সময়েই ত্বকের সৌন্দর্য যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি আরও একাধিক উপকার মেলে। তাই Benefits of Aloe Vera নিয়ে আলোচনা করতে গেলে এই প্রাকৃতিক উপাদানটির আরও কিছু উপকারিতার উপর আলোকপাত না করলেই নয়। যেমন ধরো...


১। ত্বকের হারিয়ে যাওয়া আর্দ্রতা ফিরে আসবে:

নিয়মিত অ্যালো ভেরা জেলের সাহায্যে ফেসিয়াল মাসাজ করলে ত্বকের ভিতরে জলের পরিমাণ বাড়তে শুরু করে। ফলে স্কিনের হারিয়ে যাওয়া আর্দ্রতা ফিরে আসতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে ত্বক আর শুষ্ক না থাকার কারণে নানাবিধ ত্বকের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও যায় কমে। এবার বুঝেছো তো ত্বকের পরিচর্যায় অ্যালো ভেরা জলকে কাজে লাগানো কতটা জরুরি! 

২। ব্রণর প্রকোপ কমে:

এমন ধরনের ত্বকের সমস্যার কারণে কি চিন্তায় রয়েছো? তাহলে ১ চামচ অ্যালো ভেরা জেলের সঙ্গে ২-৩ ড্রপ লেবুর রস মিশিয়ে একটা মিশ্রণ বানিয়ে ফেলো। তারপর সেই পেস্টটা সারা মুখে লাগিয়ে সারা রাত রেখে পরদিন সকালে ধুয়ে নাও। এমনটা যদি প্রায় দিনই করতে পারো, তাহলে ত্বকের ভিতরে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে, যে কারণে ব্রণর প্রকোপ তো কমবেই, সেই সঙ্গে যে কোনও ধরনের দাগ মিলিয়ে যেতেও দেখবে সময় লাগবে না। আসলে অ্যালো ভেরা জেলে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের ভিতরে প্রবেশ করা মাত্র নতুন স্কিন সেলের উৎপাদন বেড়ে যায়, যে কারণে কোনও ধরনের দাগ মিলিয়ে যেতে একেবারেই সময় লাগে না। 

৩। স্ট্রেচ মার্ক কমে:

প্রেগন্যান্সি কারণে তো বটেই। অনেক সময় ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণেও শরীরের ইতি-উতি স্ট্রেচ মার্ক দেখা দেয়, যা মটেই সুন্দর দেখতে লাগে না। তাই স্ট্রেচ মার্ক কমাতে একেবারেই সময় নষ্ট করা উচিত নয়, আর সেই কারণেই ত্বকের পরিচর্যায় আলো ভেরা জেলকে কাজে লাগাতে হবে। ডার্মাটোলজিস্টদের মতে নিয়মিত যদি স্ট্রেচ মার্কের উপর আলো ভেরা জেল লাগানো যায়, তাহলে নাকি এমন ধরনের দাগ মিলিয়ে যেতে একেবারেই সময় লাগে না।

৪। চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়:

২ চামচ অ্যালো ভেরা জেলের সঙ্গে ১ চামচ রেড়ীর তেল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে ফেলো। তারপর সেটি রাত্রে শুতে যায়ার আগে স্ক্যাল্পে লাগিয়ে কিছু সময় মাসাজ করে ঘুমিয়ে পরো। পরদিন সকালে উঠে ভালো করে ধুয়ে ফেলো চুল। এমনটা নিয়মিত করলে স্ক্যাল্পের উপরি অংশে জমে থাকা মৃত কোষের স্তর সরে যায়। সেই সঙ্গে চুলের গোড়ায় পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই চুলের সৌন্দর্য যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি হেয়ার ফলের মাত্রাও কমে চোখে পড়ার মতো।

Comments

Popular posts from this blog

বিয়ে বাড়িতে জমিয়ে আনন্দ করার সেরা গানের লিস্ট

বেনারসি শাড়ির ব্লাউজের ডিজাইন যা দেবে আপনাকে স্টাইলিশ লুক

হবু কনেদের জন্য সেরা রুপোর নুপুরের ডিজাইন