পাইলসের কারণ, লক্ষণ ও ঘরোয়া চিকিৎসা

তীব্র বেদনাদায়ক ও জটিল রোগ গুলোর মধ্যে অর্শ বা পাইলস হলো একটি যা মুলত মানুষের মলদ্বারের রোগ। মলদ্বারের ভেতরে বা বাইরে, চারপাশে বা একপাশে থাকা বেশ কিছু টিস্যু এবং পেশি যখন প্রদাহ এবং আরও নানা কারণে খুব ফুলে যায়, তখন এই ধরনের রোগের আশঙ্কা দেখা যায়। এই রোগে মূলত মলত্যাগ করার সময় খুব কষ্ট হয়। এছাড়া বসার সময় এবং ঝাল-মশলা দেওয়া খাবার খেলেও কষ্ট বাড়ার আশঙ্কা থাকে। তবে পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা সম্ভব। বিস্তারিত জানতে অবশ্যই পড়ুন পুরো লেখাটা।


অর্শ বা পাইলস রোগের লক্ষ্যণ -

১। মলত্যাগ করার আগে বা পরে কিংবা পায়খানার সঙ্গে রক্ত বের হওয়া। অনেক ক্ষেত্রে নরম মাংসপিণ্ডের মতো পাইলসও বেরিয়ে আসতে দেখা যায়।

২। মল দ্বারে জ্বালাপোড়া এবং ফুলে যাওয়া, টাটানো ও যন্ত্রণা অনুভব হওয়া।

৩। মাথা ধরা ও মাথা ভার বোধ করা,  নাভির চারপাশে ব্যথা, কোমরে ব্যাথা।

অর্শ বা পাইলস রোগের কারণ -

১| পরিবারিক ইতিহাস থাকলে, বহুদিন ধরে কনস্টিপেশনের মতো সমস্য়ায় ভুগলেও পাইলস বা অর্শ হতে পারে।

২| ক্রনিক ডায়রিয়ার কারণেও অর্শ হতে পারে।

৩| চিকিৎসকদের মতে, গর্ভাবস্থায় মহিলাদের জরাযুতে চাপ পড়লেও অর্শ হতে পারে।

অর্শ বা পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা -

১।| রেড়ির তেল - এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা অল্প সময়েই পাইলসের যন্ত্রণা কমায়। রাতে শুতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধে ১ চা চামচ রেড়ির তেল মিশিয়ে পান করুন। নিয়মিত এমনটা করলে উপকার মিলবে হাতে-নাতে!

২। শরীরে যাতে জলের ঘাটতি না হয় তাই প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ গ্লাস জল পান করুন, অতিরিক্ত মশলা জাতীয় খাদ্য পরিহার করুন। এতে পাইলসের যন্ত্রণা কম অনুভুত হবে।

৩। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমোতে হবে।

৪। যাঁদের বেশিক্ষণ বসে কাজ, তাঁরা প্রতি ঘণ্টায় চেয়ার থেকে উঠে কম করে মিনিট পাঁচেক হাঁটুন। এতে অর্শ বা পাইলস হওয়ার আশঙ্কা কমবে।

লেখাটি পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। পড়ে ভালো লাগলে লাইক, শেয়ার ও কমেন্ট অবশ্যই করবেন।

Comments

Popular posts from this blog

বিয়ে বাড়িতে জমিয়ে আনন্দ করার সেরা গানের লিস্ট

বেনারসি শাড়ির ব্লাউজের ডিজাইন যা দেবে আপনাকে স্টাইলিশ লুক

হবু কনেদের জন্য সেরা রুপোর নুপুরের ডিজাইন