জেনে নিন সন্তানকে স্তন্যদান করার উপকারিতা

জন্ম নেওয়ার পর শিশুকে মাতৃদুগ্ধ পান করানোটা সবচেয়ে বেশি জরুরি৷ জন্মাবার পর থেকে শিশুরা যদি তিন মাস বা তার অধিক সময় ধরে মায়ের দুধ পান করে তাহলে তাদের বুদ্ধি অনেক প্রখর হয়। সেই মাতৃদুগ্ধের জোরেই ভবিষ্যৎ এ সুস্থ জীবনের দিকে এগিয়ে চলে শিশু ৷ এভাবেই মা ও তার সন্তানের মধ্যে একটা সুন্দর ও গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে।


মাতৃদুগ্ধের উপকারিতা অনেক। মায়ের দুধ খেয়ে বড় হলে চিন্তাশক্তির ক্ষমতা, শেখার ক্ষমতা, স্মৃতিশক্তি অন্যান্যদের তুলনায় বেশি হয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন মায়ের দুধে এমন কিছু পুষ্টিকারক বস্তু থাকে যেমন অ্যামিনো অ্যাসিড যা বাজারে কেনা কোনো প্রোডাক্টে  থাকে না। এই অ্যামিনো অ্যাসিডের মধ্যে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ডোকোসাহেক্সানোইক অ্যাসিড আছে - যেগুলো শিশুর মস্তিষ্ক-বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। মায়ের দুধ খেলে বাচ্চাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং তাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও যেসব শিশুরা মায়ের দুধ খেয়ে বড় হয়, তাদের কানের অসুখ, পেটের অসুখ, অ্যালার্জি ইত্যাদি কম হয়। স্তন্যদান মায়েদের স্তন এবং ওভারিয়ান ক্যানসারের হবার সম্ভাবনা কমায়, পরপর দুটি গর্ভধারণের অন্তর্বর্তীকাল বৃদ্ধি করে।

তবে এই স্তন্যদানের কিছু খারাপ দিক ও আছে। মহিলারা তাদের সন্তানকে পাবলিক প্লেসে Breastfeeding (প্রকাশ্যে স্তন্যদান) করালে সমাজের কিছু কিছু মানুষ তাদের ছি ছি করেন। নির্দ্বিধায় সন্তানকে স্তন্যপান করানো বর্তমানে একটা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকী গ্রামের কোনও মহিলাও এখন স্বাভাবিক ভাবে প্রকাশ্যে স্তন্য়দান করাতে ইতস্তত বোধ করেন। এই দৃষ্টিভঙ্গী আমাদের বদলাতে হবে। মায়েরা যাতে বাধাহীন ভাবে সন্তানকে স্তন্যদান করতে পারেন তারজন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।

পাবলিক প্লেসে স্তন্যদানের সময় কী-কী খেয়াল রাখবেন?

১। বাজারে প্রচুর কাজের ব্রেস্টফিডিং গ্যাজেটস রয়েছে। যেমন ব্রেস্টফিডিং পিলো, ব্রেস্টফিডিং কভার্স ইত্যাদি। সেরকম কিছু গ্যাজেটস কিনে নিন। এগুলো পাবলিক প্লেসে দুধ খাওয়ানোর সময় আপনার কাজে লাগবে।

২। যদি আপনাকে বেশিক্ষণ সময় ধরে দুধের শিশুকে নিয়ে বাইরে থাকতে হয়, তা হলে পাম্প করা দুধ বোতলে নিয়ে না যাওয়াই ভাল। কারণ গরমে সেই দুধ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তার চেয়ে ভাল হয়, যদি আগে থেকেই শিশুর জন্য কোনও ফিডিং চার্ট করে রাখেন।

৩। যদি দেখেন আপনি যেখানে আছেন, সেখানে কোনও ফিডিং রুম নেই, সেক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত নির্জন জায়গা বেছে নিয়ে শিশুকে স্তন্যদান করবেন। লোকলজ্জার ভয়ে ওয়াশরুমে গিয়ে কখনওই শিশুকে মাতৃদুগ্ধ পান করাবেন না। এতে আপনার হয়তো অস্বস্তি কমবে, কিন্তু শিশুর সংক্রমণের আশঙ্কা অনেক বেড়ে যাবে।

Comments

Popular posts from this blog

বিয়ে বাড়িতে জমিয়ে আনন্দ করার সেরা গানের লিস্ট

বেনারসি শাড়ির ব্লাউজের ডিজাইন যা দেবে আপনাকে স্টাইলিশ লুক

হবু কনেদের জন্য সেরা রুপোর নুপুরের ডিজাইন