এই নিয়ম গুলিই বাঙালি বিয়েকে বানায় সেরার সেরা (Bengali Wedding Rituals)
বাঙালি বিয়ে মানেই পরিবারের লোকজন, আত্মীয়-সজন, ভাই-বোন, বন্ধু-বান্ধব সবাই মিলে জন জমাটি, হৈ হুল্লোড়, নাচা-গানা, আড্ডা আর জমিয়ে খাওয়া দাওয়া। বিয়ের তারিখটা ফিক্স হতে যেটুকু সময় দেরি। একবার বিয়ের তারিখ ফাইনাল হয়ে গেলেই শুরু হয়ে যায় একের পর এক নিয়ম আর তার সাথে দেদার আনন্দ। এখন যদিও রিং সেরেমনি, মেহেন্দি ফাংশন এর মতো কয়েকটি Non Bengali Rituals অ্যাড হয়েছে মজাটা কে আরো কয়েক দিন বাড়িয়ে তোলার জন্য। কিন্তু যে নিয়ম গুলো ট্র্যাডিশনাল যেগুলো বছরের পর বছর একই ভাবে পালন হয়ে আসছে সেই নিয়ম গুলোর জনপ্রিয়তা আর আনন্দও কিন্তু কোথাও এত টুকুও কমেনি। আপনিও যদি বাঙালি স্টাইলে বিয়ে করতে চান বা আপনারও যদি সামনবিয়ে ঠিক হয়ে থাকে তাহলে আপনার জন্য রইল কয়েকটি Bengali Wedding Rituals, মানে বাঙালি বিয়ের কিছু রীতি নীতি ও আচার অনুষ্ঠানের তালিকা যেগুলো বিয়ের আগে আপনার অবশ্যই জানা উচিত।
বিয়ের আগের নিয়ম (Pre Wedding Rituals):
১। পাটিপএ - প্রথমে দুই বাড়ির পক্ষ থেকে পাটিপএ করা হয় মানে পাকা কথা ও বিয়ের তারিখ ঠিক হয়। তারপর আসে আইবুড়োভাতের পালা।
২। আইবুড়োভাত - আইবুড়ো অর্থাৎ এখনও অবিবাহিত। আত্মীয়স্বজন, বন্ধু বান্ধব হবু কনে বা হবু বরকে তাদের বাড়িতে দেকে রকমারি রান্না করে খাওয়ান। নানান রকমের উপহার ও দেওয়া হয়ে থাকে।
বিয়ের দিনের নিয়ম কানুন (Bengali Marriage Rituals):
১। দধি মঙ্গল - বিয়ের দিন সকালটা দধি মঙ্গল দিয়ে শুরু হয়। সে দিন সকালে কনেকে শাঁখা আর পলা পরানো হয়। এই সাদা লাল শাঁখা polar জুটি হল এয়োস্ত্রীর চিহ্ন।
২। জল সইতে যাওয়া - এরপর আসে জল সইতে যাওয়া। কয়েকজন বিবাহিত মহিলা বাড়ির আশেপাশে কোনও পুকুর বা নদী থেকে তামার ঘড়ায় জল ভরে নিয়ে আসেন। গায়ে হলুদের পর ঐ জল দিয়েই কনেকে স্নান করানো হয়। তারপর কনে বৃদ্ধি পুজোয় বসে।
৩। বর বরণ - এরপর সন্ধ্যে বেলায় বরযাত্রী আসার পর কনের মা ও বাকি আত্মীয় স্বজনরা মিলে নতুন জামাই কে মিষ্টি, দই খাইয়ে বরণ করেন।
৪। শুভ দৃষ্টি - সারা দুনিয়াতে বিখ্যাত বাঙালি বিয়ের এই রীতি টি। একমাত্র বাঙালি ছাড়া আর কোনো সংস্কৃতিতে এই নিয়ম দেখা যায় না। বিয়ের মন্ডপের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে বর আর বাজনা বাজিয়ে উুলু ধ্বনি দিয়ে কনে কে একটি পিঁড়িতে চড়িয়ে নিয়ে আসে তার ভাইয়েরা বা বন্ধুরা। কনে তার মুখ পান পাতা দিয়ে ঢেকে আসে। তারপর বরের সামনে আসার পর কনে সেই পানের পাতা ধীরে ধীরে সরিয়ে ফেলে, আর তখনি দুজনের শুভদৃষ্টি হয়। এই মুহূর্তটা বর-বউয়ের কাছে সত্যিই খুব স্পেশাল হয়।
বাসি বিয়ে (Bengali Bashi Biye):
১। সিঁদুর দান - বাঙালি বিয়েতে বিয়ের দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ বাসি বিয়ের দিন সিঁদুর দান হয়। তারপর সাত পাক ঘোরা, পুকুর পার, আংঠি খেলা এবং শেষে কনকাঞ্জলি। অর্থাৎ আশীর্বাদ নিয়ে বিদায় জানিয়ে মেয়ে শশুর বাড়ি চলে যায়।
লেখাটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। পড়ে যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই লাইক ও শেয়ার করতে ভুলবেন না।
বিয়ের আগের নিয়ম (Pre Wedding Rituals):
১। পাটিপএ - প্রথমে দুই বাড়ির পক্ষ থেকে পাটিপএ করা হয় মানে পাকা কথা ও বিয়ের তারিখ ঠিক হয়। তারপর আসে আইবুড়োভাতের পালা।
২। আইবুড়োভাত - আইবুড়ো অর্থাৎ এখনও অবিবাহিত। আত্মীয়স্বজন, বন্ধু বান্ধব হবু কনে বা হবু বরকে তাদের বাড়িতে দেকে রকমারি রান্না করে খাওয়ান। নানান রকমের উপহার ও দেওয়া হয়ে থাকে।
বিয়ের দিনের নিয়ম কানুন (Bengali Marriage Rituals):
১। দধি মঙ্গল - বিয়ের দিন সকালটা দধি মঙ্গল দিয়ে শুরু হয়। সে দিন সকালে কনেকে শাঁখা আর পলা পরানো হয়। এই সাদা লাল শাঁখা polar জুটি হল এয়োস্ত্রীর চিহ্ন।
২। জল সইতে যাওয়া - এরপর আসে জল সইতে যাওয়া। কয়েকজন বিবাহিত মহিলা বাড়ির আশেপাশে কোনও পুকুর বা নদী থেকে তামার ঘড়ায় জল ভরে নিয়ে আসেন। গায়ে হলুদের পর ঐ জল দিয়েই কনেকে স্নান করানো হয়। তারপর কনে বৃদ্ধি পুজোয় বসে।
৩। বর বরণ - এরপর সন্ধ্যে বেলায় বরযাত্রী আসার পর কনের মা ও বাকি আত্মীয় স্বজনরা মিলে নতুন জামাই কে মিষ্টি, দই খাইয়ে বরণ করেন।
৪। শুভ দৃষ্টি - সারা দুনিয়াতে বিখ্যাত বাঙালি বিয়ের এই রীতি টি। একমাত্র বাঙালি ছাড়া আর কোনো সংস্কৃতিতে এই নিয়ম দেখা যায় না। বিয়ের মন্ডপের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে বর আর বাজনা বাজিয়ে উুলু ধ্বনি দিয়ে কনে কে একটি পিঁড়িতে চড়িয়ে নিয়ে আসে তার ভাইয়েরা বা বন্ধুরা। কনে তার মুখ পান পাতা দিয়ে ঢেকে আসে। তারপর বরের সামনে আসার পর কনে সেই পানের পাতা ধীরে ধীরে সরিয়ে ফেলে, আর তখনি দুজনের শুভদৃষ্টি হয়। এই মুহূর্তটা বর-বউয়ের কাছে সত্যিই খুব স্পেশাল হয়।
বাসি বিয়ে (Bengali Bashi Biye):
১। সিঁদুর দান - বাঙালি বিয়েতে বিয়ের দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ বাসি বিয়ের দিন সিঁদুর দান হয়। তারপর সাত পাক ঘোরা, পুকুর পার, আংঠি খেলা এবং শেষে কনকাঞ্জলি। অর্থাৎ আশীর্বাদ নিয়ে বিদায় জানিয়ে মেয়ে শশুর বাড়ি চলে যায়।
লেখাটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। পড়ে যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই লাইক ও শেয়ার করতে ভুলবেন না।
Comments
Post a Comment